বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ছয়টি টেস্ট ও ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন মানজারুল ইসলাম রানা। ২০০০ সালের ২২ নভেম্বর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের হয়ে রানার অভিষেক ঘটে। ২০০৩ সালের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক ঘটে।
মোহাম্মদ রফিক এর স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি তার তৃতীয় বলেই মাইকেল ভনকে আউট করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন।
২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানার টেস্ট অভিষেক ঘটে। এই ম্যাচে তিনি ২০.২ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। টেস্টে তার প্রথম শিকার শন আরভিন। এই ম্যাচের ১ম ইনিংসে অপরাজিত ৩৫* ও ২য় ইনিংসে ৩২ রান করেন।
২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফরে রানা ওয়ানডে সিরিজে দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন।
মানজারুল ইসলাম রানা ১৯৮৪ সালের ৪ মে খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ছয়টি টেস্ট ও ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। বাঁহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তিনি বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনও জানতেন।
২৫ ওডিআইয়ে ২০.৬৮ গড়ে তার রান সংখ্যা ৩৩১ আর উইকেট ছিল ২৩ টি। এছাড়া ৬ টেস্টে ২৫.৭০ গড়ে রান ২৫৭, পাশাপাশি উইকেট ৫ টি। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন।
২০০৭ সালের ১৬ই মার্চ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বালিয়াখালি ব্রিজের নিকট এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি এবং তার ক্লাব সতীর্থ সাজ্জাদুল হোসেন সেতু নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় রানা নিজেই মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছিলেন। মৃত্যুকালীন তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর ৩১৬দিন। এর ফলে আর্চি জ্যাকসনের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙ্গে যায়।
আমরা তার জান্নাত কামনা করি, তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।